ভালোবাসা শীতল এক রাশ বাতাসের মত, যেই বাতাস সেবন করার জন্য শরীরের সকল অনু-পরমানু অস্থির হয়ে পরে। হৃদয়ের বালবগুলো হা করে থাকে মন ভরে একটু সেই মধুমাখা বাতাসের পরশ নিতে।
ভালোবাসা কারো কথা মনে করতেই মাথা থেকে পা অবদি বয়ে যাওয়া এক ঠান্ডা ঢেউ।
ভালোবাসা জিহবার উপর আমের মত রসালো কোন ফলের মধু মাখা আলতো প্রলেপ। যার স্বাদ বর্ণনা করার মত নয়, মাতাল হয়ে থাকার মত।
ভালোবাসা সকল বন্ধন থেকে মুক্তি।
ভালোবাসা খোলা আকাশের নীচে উন্মুক্ত প্রান্তর।
ভালোবাসা ব্রেনের সেলের ভেতর অনু-পরমানুগুলোর এক তানে কম্পন।
এমন বোধ হলে বুঝবে যে তোমার কারো প্রতি ভালোবাসা হয়েছে। মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব হিসেব কষা ভুলে যাবে। ভালো-মন্দের বিচার প্রভাবিত হবে।
কোন বাধাকেই বাধা মনে হবে না।
ভালোবাসা এমন হয় যে নিজের চাওয়া পাওয়াগুলো তুচ্ছ মনে হতে থাকে। কোন প্রতিদানের লোভ ত্যাগকে কলুষিত করতে পারে না।
এমন প্রেম কেবল সাহিত্যে আর নাটক সিনেমাতেই হয় না। প্রেম এমনই হয়। আর এমন প্রেমের অভিজ্ঞতা যদি হৃদয়ের একবার হয়ে যায়, হৃদয় আর অন্ধকারে থাকতে পারবে না।
কেন মানুষ ভয় পায় মন খুলে ভালবাসতে? ভালোবাসাতো উদারতাতেই বাড়ে!
হারানোর ভয়?
অনিশ্চয়তা?
তবে জগতে কোন ব্যাপারটা নিশ্চিত!
এতো অনিশ্চয়তার মাঝে আমরা কি নিশ্চয়তা দিতে পারি কোন কিছুর! আমাদের হাতে তো কিছুই নেই।
আছে কেবল ভালোবাসার ক্ষমতা। তাতে আর কারো কিছু না, শুধু নিজেরই মুক্তি। আসলে ভালোবাসা আর কারো জন্য না। মানুষ নিজের জন্যই ভালোবাসে। অন্যকে ভালোবাসাতে পারা এক ধরনের অদ্ভুত ক্ষমতা। যত দিবে দেখবে ততই পাবে।
আর কে বলে ভালোবাসার মানুষটাকে সারা জীবনের জন্য আটকে রাখতে হবে। নিরাপত্তাহীনতা তখনই আসে যখন নিজের ভালোবাসার উপর ভরসা থাকে না! আর সেটা তখনই হয় যখন আমরা আমাদের ভালবাসা থেকে প্রতিদান চাই।
ভালোবাসা একধরনের বোধ। এই বোধটাকে উপভোগ করার নামই ভালোবাসা।
কেও চলে যাবে ভেবে কি তার থাকার সময়টা উপভোগ করবে না! আর কারো উপস্থিতিটা তোমার নিজের চাহিদা মোতাবেক হতে হবে কেন! তা স্বার্থপরতা হয়ে গেল না?
আর কেই বা বলেছে এমন ভালোবাসা একবারই হয়। যে ভালোবাসতে ভয় পায় না, সে তো ভালোবাসা দিয়েই যেতে জানে। তবে হ্যা, সৎ থাকতে হবে। এখানে সততার ব্যাপারটা আগুনের মত। একটু অসতর্কতা অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির কারণ হতে পারে। একদম আলোর মত সাফ থাকতে হবে। একটুও ময়লা করা যাবে না!”